ওয়েব হোস্টিং কি | Web Hosting কত প্রকার

ওয়েব হোস্টিং কি – কোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য হোস্টিং এবং ডোমেইন এর প্রয়োজন হয়। আগের আর্টিকেল এ আমি ডোমেইন নেম কি এই সম্পর্কে বলেছিলাম। আজকের আর্টিকেলে আমরা হোস্টিং কি, ওয়েব হোস্টিং কি, হোস্টিং কত প্রকার এবং হোস্টিং এর দাম কত এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

এইজন্য, যদি আপনি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানানোর জন্য Hosting কিনতে চান, তাহলে আজকের আর্টিকেল থেকে হোস্টিং এবং হোস্ট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।

ওয়েব হোস্টিং কি?

ইন্টারনেটের দুনিয়ায় কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগ বানানোর জন্য, ওয়েবসাইট বা ব্লগের সমস্ত ডাটা যেখানে জমা হয় সেটিকে হোস্টিং বলে। কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের সমস্ত টেক্সট, ভিডিও, ইমেজ, ডকুমেন্টস, অডিও ফাইল এই সমস্ত কিছু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা ব্লগের হোস্টিং সার্ভারে জমা হয়।

ওয়েবসাইট বানানোর জন্য যে ডোমেইন নেমটি প্রয়োজন হয়, সেই নির্দিষ্ট ডোমেইন নেমটি কোনো ইউজার ইন্টারনেটে সার্চ করলে, ওই ওয়েবসাইট বা ব্লগের ডোমেইন নেম টি হোস্টিং সার্ভার এ পয়েন্ট করে, ওয়েবসাইট এর সমস্ত ডাটা ইউজারকে দেখায়।

এর মানে হলো ডোমেইন নেমের সাহায্যে যে সমস্ত ডাটা ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস করা হয়, সে সমস্ত ডাটা ওয়েব সার্ভার বা ওয়েব হোস্টিং এ জমা হয় বা স্টোর করা থাকে।

একটি উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়:

ধরুন আপনি একটি দোকান খুলতে চান। কিন্তু দোকান খোলার জন্য একটি জায়গার প্রয়োজন, যেখানে আপনি আপনার সমস্ত প্রোডাক্ট এবং সরঞ্জামগুলি রাখতে পারবেন। কোন কাস্টমার ঐ নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আপনার প্রোডাক্ট গুলি দেখতে ও কিনতে পারবে।

সেই রকম অনলাইনে কোন ওয়েবসাইট বানানোর জন্য হোস্টিং এর প্রয়োজন। কোন নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের সমস্ত ডাটাগুলো, হোস্টিং এ জমা হয়। কোন ইউজার যখন নির্দিষ্ট ডোমেইন নেম লিখে ইন্টারনেটে কোন ওয়েবসাইট সার্চ করে, তখন ডোমেইন নেম টি ওয়েব সার্ভারে পয়েন্ট করে, ইউজারকে ওই ওয়েবসাইটের সমস্ত ডাটা গুলি দেখায়।

হোস্টিং কাকে বলে?

হোস্টিং হল এক ধরনের ওয়েব সার্ভার। যেখানে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা ব্লগের সমস্ত ডাটা স্টোর করা হয়। কোনো ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট ডোমেন নেম ইন্টারনেটে সার্চ করলে, হোস্টিং এর মাধ্যমে ওই ওয়েবসাইট বা ব্লগের সমস্ত ডাটা গুলি দেখতে পারে। ডোমেইন এবং হোস্টিং এর কানেকশন এর মধ্য দিয়ে কোন ওয়েবসাইট, ইউজার এর সামনে ফুটে ওঠে।

হোস্ট কি বা হোস্ট কাকে বলে?

একটি কম্পিউটার যখন নেটওয়ার্কের মধ্যে কানেক্ট হয় তখন তাকে হোস্ট বলা হয়। কখনো কখনো কম্পিউটার বা অন্য যে কোন ডিভাইস নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট হলে তাকেও হোস্ট বলা হয়ে থাকে। সেটি মোবাইল, ট্যাবলেট বা অন্য যে কোন ডিভাইস হতে পারে। হোস্ট বিভিন্ন ধরনের হয়। যেমন: নেটওয়ার্ক হোস্ট, ওয়েব হোস্ট ইত্যাদি।

একটি হোস্ট কে অন্য হোস্ট এর সাথে কানেক্ট করার জন্য নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজন হয়। এবং নেটওয়ার্কের সাহায্যে এক বা একাধিক হোস্ট এর মধ্যে কানেকশন তৈরি করে কমিউনিকেশন করা হয়।

ডোমেইন এবং হোস্টিং হলো এক ধরনের ওয়েব হোস্ট। ওয়েব হোস্ট বিভিন্ন ধরনের হোস্টিং সার্ভার কে দেখাশোনা করে। এবং বিভিন্ন কাস্টমারদের হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইড করে।

উদাহরণ হিসেবে: যখন কোন ডোমেইনকে, হোস্টিং এর সাথে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কানেক্ট করা হয় তখন এটি ওয়েব হোস্ট এর মধ্যে পড়ে।

হোস্টিং কত প্রকার

  • Dedicated hosting
  • VPS Hosting
  • Shared hosting
  • Managed Hosting
  • Cloud Hosting
  • Reseller Hosting

এই সমস্ত ধরনের হোস্টিং সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। যেখান থেকে কোন হোস্টিং এর কি কাজ এবং কত দাম সেগুলি খুব সহজভাবে জানতে পারবেন।

Dedicated Hosting

যদি একটি পুরো সিপিইউ হোস্টিংয়ের রূপে নেওয়া হয় তাকে ডেডিকেটেড হোস্টিং বলে। আমরা জানি একটি নির্দিষ্ট সিপিইউ এ নির্দিষ্ট RAM, hard disk, processor এগুলি থাকে। যদি কোন ওয়েবসাইটের মালিক পুরো সিপিইউ টাকেই হোস্টিং রূপে ব্যবহার করে তাকে ডেডিকেটেড হোস্টিং বলা হয়।

See also  ব্যান্ডউইথ কি? ডাটা লিমিট এবং ব্যান্ডউইথ এর পার্থক্য কি?

একটি উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়:

ধরুন আপনি একটি বাড়ি কিনলেন। যেহেতু বাড়িটি আপনি নিজে নিয়েছেন তাই পুরো বাড়িটি আপনি একাই ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে আপনার বন্ধু বা আত্মীয় কেউ থাকতে পারবে না। এখন এই পুরো বাড়িটি হল Dedicated Hosting। আপনি এখানে আপনার সমস্ত, নিজস্ব মালপত্র বাড়ির মধ্যে জমা করতে পারেন।

এই ধরনের হোস্টিং এর মূল্য মাসে ৬০০০-২০০০০ টাকার মধ্যে হয়।

Dedicated Hosting এর সুবিধা

  • ইউজারের, হোস্টিং এর ওপর সবথেকে বেশি কন্ট্রোল থাকে।
  • সবথেকে বেশি সিকিউরিটি এই হোস্টিং এ পাওয়া যায়।
  • ইউজার, যে কোন জিনিস খুবই সহজে অ্যাক্সেস করতে পারে।

Dedicated Hosting এর অসুবিধা

  • এই হোস্টিং কিনতে সবথেকে বেশি টাকা ব্যয় করতে হয়।
  • এই হোস্টিং কন্ট্রোল করার জন্য টেকনিক্যাল নলেজ প্রচুর দরকার।
  • যদি আপনি কন্ট্রোল করতে না পারেন তাহলে টেকনিশিয়ান ভাড়া করতে হয়।

VPS Hosting

যখন কোন ডেডিকেটেড সিপিইউ কেই ভাগ করে আলাদা আলাদা Submachin বা ভার্চুয়াল মেশিন বানানো হয়, তখন তাকে ভিপিএস হোস্টিং বলে। ধরুন কোনো ডেডিকেটেড সিপিইউ এ ৮ জিবি RAM আছে, তখন ভিপিএস সেই ডেডিকেটেড সিপিইউ টিকে আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট ইউজারের জন্য RAM টিকে বিভক্ত করে সবাইকে ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।

সুতরাং যখন কোন CPU কে ভাগ করে কোনো Sub-Machine বা Virtual Machine তৈরি করে, বিভিন্ন ইউজারকে তাদের ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেওয়া হয় তখন তাকে ভিপিএস হোস্টিং বলা হয়।

উদাহরণ হিসেবে:

আপনি একটি বাড়ি ভাড়ায় নিয়ে, সেই বাড়িটিকে ৪-৫ জন বন্ধুর সাথে ভাগ করে নিলেন। এবং সবাই আলাদা আলাদা রুম নিয়ে বসবাস করা শুরু করলেন। এখন সেই বাড়িটার ভাড়া আপনি এবং আপনার বন্ধুরা মিলে মেটাবেন। এবং সবাই মিলে তাদের মালপত্র সেই বাড়ির মধ্যে রাখতে পারবে।

এই ধরনের হোস্টিং নেওয়ার জন্য মাসে ২০০০ -১০০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

VPS Hosting এর সুবিধা

  • ওয়েবসাইটের জন্য সবথেকে ভালো পারফরমেন্স দেয়।
  • নিজেই ফুল কন্ট্রোল করতে পারবেন।
  • ওয়েবসাইটের হিসাবে momory upgrade এবং ব্যান্ডউইডথ পরিবর্তন করতে পারবেন।
  • Privacy এবং Security বেশি।

VPS Hosting এর অসুবিধা

  • Technical knowledge থাকা প্রয়োজন।
  • ডেডিকেটেড হোস্টিং এর থেকে কম Resource পাওয়া যায়।

Shared Hosting

যখন কোন ভিপিএস হোস্টিং কে, আলাদা আলাদা ইউজারের সাথে শেয়ার বা ভাগ করা হয় তখন তাকে শেয়ার্ড হোস্টিং বলে।

সুতরাং ডেডিকেটেড হোস্টিং কে ভাগ করে ভিপিএস হোস্টিং, এবং ভিপিএস কে আবার বিভক্ত করলে শেয়ার্ড হোস্টিং তৈরি হয়।

শেয়ার্ড হোস্টিংয়ে একটি CPU কে অনেক ইউজার এর সাথে শেয়ার করা যায়। কিন্তু একটি শেয়ার্ড হোস্টিং কতজনের সাথে শেয়ার করা হবে সেটি সেই হোস্টিং কোম্পানি নির্ধারণ করে।

উদাহরণ:

আপনি একটি বাড়ি নিয়ে আপনার বন্ধুদের সাথে একটি রুম কে ভাগ করে নেওয়ার পর, যদি সেই রুমের মধ্যেই আবার নতুন কোন ব্যক্তিকে থাকার জায়গা দেওয়া হয়, তখন তাকে শেয়ার্ড হোস্টিং বলে। এখানে একটি রুমের মধ্যেই আপনি আপনার নতুন ৪-৫ জন বন্ধুকে থাকার অনুমতি দিতে পারেন।

এই ধরনের হোস্টিং কেনার জন্য মাসে ৪০-৩০০ টাকা, নির্দিষ্ট ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি কে দিতে হয়।

Shared Hosting এর সুবিধা

  • Set Up করা খুবই সোজা।
  • নতুন ব্লগ এর জন্য খুবই ভালো।
  • খুব সহজেই কন্ট্রোল করা যায়।
  • কম খরচে পাওয়া যায়।

Shared Hosting এর অসুবিধা

  • সিকিউরিটি খুবই কম।
  • খুবই কম পরিমাণে Resource পাওয়া যায়।
  • কখনো কখনো ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স খারাপ হয়।

Managed ওয়েব হোস্টিং

কোন কোম্পানি বা বড় প্রতিষ্ঠান যে ধরনের ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করে তাকে ম্যানেজ ওয়েব হোস্টিং বলা হয়।

যেমন ধরুন আমরা ব্লগ বানানোর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করি। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং নামক এক ধরনের হোস্টিং আছে যেটি ওয়ার্ডপ্রেস কোম্পানি তার ইউজার দের জন্য তৈরি করেছেন। যার মাধ্যমে কোন ওয়াডপ্রেস ব্যবহারকারী তার ওয়েবসাইট বা ব্লগ, ভালোভাবে Optimize এবং Rank করতে পারে।

কোনো হোস্টিং কে, কোনো কোম্পানি বিভিন্ন টুলস এর সাহায্যে নিজেই ম্যানেজ করলে তাকে ম্যানেজ ওয়েব হোস্টিং বলা হয়। এখানে নির্দিষ্ট কোম্পানি শুধুমাত্র তার ইউজারদের পরিষেবা দেবার জন্য এই ধরনের হোস্টিং তৈরি করেন। তবে কখনো কখনো বড় বড় প্রতিষ্ঠানও ম্যানেজ হোস্টিং তৈরি করে থাকে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়:

ধরুন আপনার একটি নিজস্ব ফ্ল্যাট রয়েছে এবং আপনি সেই ফ্ল্যাটটি নিজেই ম্যানেজ করেছেন। যেখানে আপনি দেখছেন আপনার কাস্টমার দের কোন রকম অসুবিধা হচ্ছে কিনা। এবং অসুবিধা ঠিক করার জন্য নিজেই সেই ফ্ল্যাটের দেখবার সামলাচ্ছেন।

See also  ব্যান্ডউইথ কি? ডাটা লিমিট এবং ব্যান্ডউইথ এর পার্থক্য কি?

Cloud Hosting

যখন আলাদা আলাদা সার্ভার থেকে নির্দিষ্ট ডোমেন অ্যাক্সেস করা হয় তখন তাকে ক্লাউড হোস্টিং বলে।

ক্লাউড হোস্টিং এর জন্য আলাদা আলাদা দেশ বা স্থানে, আলাদা আলাদা server রাখা হয়। যখন কোনো দেশের নির্দিষ্ট ইউজার, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট টিকে ব্যবহার করতে চায় তখন ওই দেশের ওয়েব হোস্টিং টির সাথে ডোমেইনটি কানেক্ট করা হয়।

ধরুন আপনার ওয়েবসাইট টিতে আমেরিকা-ভারত এবং বাংলাদেশে এই তিন জায়গা থেকে ট্রাফিক আসে। যদি কোন আমেরিকার ইউজার আপনার ওয়েবসাইটটি খুলতে চায়, তখন আমেরিকায় যে সার্ভারটি রাখা আছে তার সাহায্যে আপনার ওয়েবসাইটটি অ্যাক্সেস করা হবে। আবার যখন ভারতের কোন ব্যক্তি আপনার ওয়েবসাইটটিতে যাবেন তখন ভারতে যে সার্ভার টি আছে সেটির সাহায্যে আপনার ওয়েবসাইটটি পয়েন্ট হয়ে যাবে।

যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটটি কখনো ডাউন হবে না। এবং বিভিন্ন ধরনের সার্ভারের জন্য আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত ডাটা প্রত্যেকটি সার্ভারে স্টোর করে রাখা থাকে। যদি কোন সার্ভার থেকে আপনার ডাটা ডিলিট হয়ে যায় তখন আপনি অন্য যে কোন সার্ভার থেকে সেই ডাটা পুনরায় ফিরে পেতে পারবেন।

এই ধরনের হোস্টিং এর মূল্য মাসে ৪০০-৭০০ টাকা।

Reseller Hosting

যখন কোন নির্দিষ্ট কোম্পানি থেকে একটি পুরো সিপিইউ কিনে নিয়ে সেটিকে আলাদা আলাদা ইউজারের সাথে ভাগ করে নেয়া হয় তখন তাকে রিসেলার হোস্টিং বলে।

এখানে আপনি কোন নির্দিষ্ট হোস্টিং নিজের নামে কিনে সেটিকে বাকি ইউজারদের সাথে ভাড়া দিতে পারবেন।

যেহেতু এটি আপনি পুনরায় কিনে পুনরায় বিক্রি করছেন তাই এটিকে রিসেলার হোস্টিং বলা হয়। ধরুন আপনি একটি হোস্টিং কিনলেন তারপর এই হোস্টিং এর মধ্যেই VPS, Shared, Business নামক আলাদা আলাদা বিভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা মূল্য সেট করলেন। তারপর বিভিন্ন ইউজারদের সাথে যোগাযোগ করে বললেন যে আপনার কাছে একটি হোস্টিং আছে আপনি সেটিকে ভাড়া দিতে চান। তখন আপনার এই হোস্টিং কিনতে যেসব ইউজাররা আসবে তাদের থেকে আপনি ভাড়া নিয়ে এই হোস্টিংটি ব্যবহার করার অনুমতি দেবেন।

উদাহরণ হিসেবে:

আপনি অন্য ব্যক্তির থেকে একটি বাড়ি কিনে নিয়ে সেটাকে নিজের নামে করে অন্যদেরকে ভাড়া দিচ্ছেন।

হোস্টিং এর দাম (Hosting Price)

বিভিন্ন প্রকার পোস্টিং এর দাম বিভিন্ন ধরনের হয়। আমি এখানে নির্দিষ্ট হোস্টিং এর জন্য মাসিক কত টাকা থেকে কত টাকা পর্যন্ত Rent হতে পারে তার একটি বিবরণ দিলাম।

  • Shared hosting – ৪০ থেকে ৩০০ টাকা
  • VPS hosting – ২০০০ থেকে ১০০০০ টাকা
  • Dedicated hosting – ৬০০০ থেকে ২০০০০ টাকা
  • Cloud hosting – ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা
  • Reseller hosting – ৩০০০ থেকে ৮০০০০ টাকা

হোস্টিং সার্ভার কি?

যখন কোন ওয়েবসাইট, হোস্টিং এর সাহায্যে কানেক্ট করা হয় তখন, ওই ওয়েবসাইটের সমস্ত ডাটা নির্দিষ্ট হোস্টিং কোম্পানির সার্ভারে জমা হয়। এই সার্ভার টিকে হোস্টিং সার্ভার বলা হয়।

কোন নির্দিষ্ট কোম্পানির হোস্টিং সার্ভার এর মধ্যে কাস্টমারদের সমস্ত, ব্যাকআপ, ফাইল, পাসওয়ার্ড এর সমস্ত ডাটা স্টোর হয়ে থাকে।

সেরা ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডার

যদি আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিং কিনতে চান তাহলে এই সমস্ত বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে, হোস্টিং খরিদ করতে পারেন। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলি আমাদের দেশের সব থেকে ভালো ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি।

  • Hostgator
  • Namecheap
  • Siteground
  • A2 hosting
  • Hostinger
  • Bluehost
  • Dreamhost
  • GreenGeeks
  • BigRock

কিভাবে হোস্টিং কিনতে হয়

যদি আপনি হোস্টিং কিনতে চান তাহলে এই সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে আপনি আপনার ব্লগের ট্রাফিক অনুযায়ী হোস্টিং কিনতে পারেন।

এইজন্য এখান থেকে যেকোন একটি ওয়েব সাইটে যাওয়ার পর নতুন অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিয়ে, হোস্টিং প্ল্যান বেছে নেওয়ার পর, পেমেন্ট করে হোস্টিং কিনতে পারেন।

যদি আপনি, প্রথমবার ব্লগ তৈরি করেছেন এবং আপনি নতুন ব্লগের জন্য হোস্টিং কিনতে চান, তাহলে আমি আপনাদের Hostinger থেকে Shared হোস্টিং নেওয়ার কথা বলব। যেখান থেকে আপনি খুবই কম টাকায় হোস্টিং কিনতে পারবেন। পরবর্তীকালে ব্লগিং ভালোভাবে শিখে নেওয়ার পর, আপনি আপনার ব্লগের ট্রাফিক অনুযায়ী আপনার হোস্টিং প্ল্যানটি, ভবিষ্যতে Upgrade করতে পারেন।

Hosting কিভাবে কাজ করে

আমরা জানি যে, ডোমেইন নেমের সাহায্যে কোন হোস্টিং কে পয়েন্ট করা হয়। যখন কোন ব্যবহারকারী ইন্টারনেটে কোনো ওয়েবসাইটের নাম সার্চ করে তখন ওই নির্দিষ্ট ডোমেইন এর আইপি অ্যাড্রেসটি; হোস্টিং এর সাথে পয়েন্ট করে, ডোমেইন এবং হোস্টিং এর মধ্যে কানেকশন তৈরি করে।

ডোমেইন কে, হোস্টিং এর সাথে জোড়ার জন্য ডোমেইন নেম সিস্টেম বা DNS ব্যবহার করা হয়। DNS এর মাধ্যমে কোন ডোমেইন বুঝতে পারে নির্দিষ্ট ডোমেইনটি কোন সার্ভার এর সাথে যুক্ত আছে। যেহেতু ইন্টারনেটে অনেক ধরনের Server মজুদ আছে; তাই ডিএনএস, নির্দিষ্ট ডোমেইনটি কোন সার্ভার এর অন্তর্ভুক্ত এটি খুঁজে বের করার পর, নির্দিষ্ট হোস্টিং এ কানেক্ট করে।

See also  ব্যান্ডউইথ কি? ডাটা লিমিট এবং ব্যান্ডউইথ এর পার্থক্য কি?

DNS এর সাহায্যে ডোমেইন নেমটি নির্দিষ্ট সার্ভারে পয়েন্ট করার পর, হোস্টিং নির্দিষ্ট আইপি এড্রেসটি থেকে তার সমস্ত ডাটা দেখানোর অনুমতি পায় এবং তারপর হোস্টিং সার্ভারটি অনুমতি দিলে, সেই হোস্টিং এর সমস্ত ডাটা কোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেখতে ও পড়তে পারে।

এই সমস্ত কিছু ঘটনা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হয়। তাই ইউজার এই সমস্ত কিছু বুঝতেই পারেনা। তারা ইন্টারনেটের মধ্যে কোন কিছু সার্চ করলে সেগুলি, নিমেষের মধ্যে দেখতে পায়।

সঠিক ওয়েব হোস্টিং কি দেখে নির্বাচন করবেন

যদি আপনি প্রথমবারের জন্য হোস্টিং কিনতে চান তাহলে আপনাকে অনেক জিনিস মাথায় রেখে হোস্টিং কিনতে হবে। কারন একটি ওয়েবসাইট এবং হোস্টিং অনেক কিছু জিনিসের উপর নির্ভর করে। এই জন্য নিচে দেওয়া ইনফর্মেশন গুলি প্রথমে জেনে নিন এবং তারপর হোস্টিং খরিদ করুন।

Uptime

হোস্টিং এর কাজ হল আপনার ডোমেইনটিকে সর্বদা ইউজারদের সামনে দেখানো এবং আপনার ওয়েবসাইট টি ইন্টারনেটের সামনে রাখা। কিন্তু এমন অনেক ধরনের হোস্টিং কোম্পানি আছে যেগুলি বেশিরভাগ সময় ডাউন হয়ে যায়। এবং ডাউন হওয়ার ফলে অনেক সময় আপনার ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেট থেকে সরে যেতে পারে।

এইজন্য হোস্টিং কেনার আগে, যে কোম্পানি আপনার ওয়েবসাইটটি, ৯৯.৯% Uptime দেবার গ্যারান্টি নেবে সেই কোম্পানি নির্বাচন করুন।

Speed

কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগের মেইন জিনিস স্পিড। যদি আপনার ওয়েবসাইট খুলতে দেরি হয় তাহলে কোন ইউজার আপনার ওয়েবসাইট ছেড়ে অন্য কারো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। কারণ ইন্টারনেটে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট আছে যেগুলি একই ধরনের তথ্য প্রদান করে। তাই কোনো ব্যবহারকারী ওয়েবসাইট খোলার অপেক্ষায় থাকবে না, সে সাথে সাথে অন্য কোন ওয়েবসাইটে চলে যাবে।

এইজন্য আপনি যে হোস্টিং নিচ্ছেন তার স্পিড কেমন যাচাই করুন। এর জন্য যেসব ব্যবহারকারী আগে থেকেই ওই কোম্পানির হোস্টিং ব্যবহার করেছেন তাদের সাথে আলোচনা করতে পারেন।

ওয়েবসাইটের স্পিড কখনো কখনো এসইওর ওপরও প্রভাব ফেলে। যদি আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড কম হয় তাহলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটটি পেছনে রাখবে।

Bandwidth

আপনার ওয়েবসাইটে প্রত্যেক সেকেন্ডে কত পরিমান ডাটা এক্সেস করা যায় সেটাকেই ব্যান্ডউইড বলে। যদি আপনার হোস্টিং এর ব্যান্ডউইথ কম হয়, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি অধিক পরিমাণে ট্রাফিক আসার ফলে স্লো হয়ে যাবে। এইজন্য যদি পারেন তাহলে আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ যুক্ত হোস্টিং নির্বাচন করুন।

Disk Space

হোস্টিং এর সবথেকে মূল বিষয় হল হোস্টিং এর জায়গা। যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত ডাটা গুলি জমা হয়। মোবাইলের মেমোরি কার্ডের মত এটিরও একটি নির্দিষ্ট লিমিট থাকে। তাই যদি আপনার হোস্টিং এর Disk Space ভর্তি হয়ে যায় তাহলে আপনি নতুন করে কোন ডাটা আপনার হোস্টিং এ জমা করতে পারবেন না। তাই এই জিনিসটা মাথায় রেখে আনলিমিটেড Disk Space যুক্ত হোস্টিং সার্ভিস বেছে নিন।

Customer Support

যে হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনছেন; দেখে নিন তাদের সাপোর্ট সিস্টেম কেমন। কখন কখনো টেকনিক্যাল নলেজ না থাকার কারণে হেলপ এবং সাপোর্ট এর দরকার পড়ে। কারণ হোস্টিংয়ের অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেগুলি সবসময় নিজের পক্ষে ঠিক করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এইজন্য হোস্টিং কেনার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন আপনি যে হোস্টিং কোম্পানি টি পছন্দ করেছেন কাস্টমার সাপোর্ট কেমন রয়েছে।

Security

আপনার ওয়েবসাইটের সবথেকে যে বড় জিনিসটি নজরে রাখতে হবে, সেটি হল সিকিউরিটি। যদি আপনার হোস্টিং কোম্পানি, আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে সিকিউরিটি প্রদান না করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য গুলি চুরি হবার ভয় থাকে। এইজন্য যে ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি, ওয়েব-সাইটের সিকিউরিটি বৃদ্ধি করে, এরকম কোম্পানি বাছাই করুন।

ওয়েবসাইটের জন্য SSL সার্টিফিকেট অবশ্যই একটি বড় ভূমিকা পালন করে। SSL সার্টিফিকেট ওয়েবসাইটে লাগানোর ফলে তার সিকিউরিটি অনেকগুণ বেড়ে যায়। এইজন্য হোস্টিং কেনার সময় দেখে নিন কোম্পানিটি SSL সার্টিফিকেট প্রোভাইড করছে কিনা।

Money Back Guarantee

কখনো কখনো কোন হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করার সময়, ওই হোস্টিং সার্ভিসটির বিভিন্ন ধরনের প্রবলেম দেখা দেয়। তাই ওই হোস্টিং সার্ভিস ছেড়ে অন্য কোন কোম্পানির হোস্টিং সার্ভিস এ যাওয়ার দরকার পড়ে। এই জন্য আপনি বর্তমানে যে হোস্টিং কোম্পানিতে জয়েন করতে চাইছেন অবশ্যই দেখে নিন তারা সার্ভিসের জন্য পেমেন্ট দেওয়ার পর, সেই টাকা ফেরত দেয়ার গ্যারান্টি দিচ্ছে কিনা, বা দিলেও সেটি কতদিনের জন্য।

কোনো হোস্টিং কোম্পানিতে যদি আপনি হোস্টিং সার্ভিস কিনতে চান তাহলে অবশ্যই মানিব্যাক গ্যারান্টি দেয় এরকম ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে হোস্টিং কিনুন। যার ফলে আপনি সহজেই আপনার টাকা ফেরত নিয়ে অন্য কোন হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানিতে, আপনার ওয়েবসাইটটি ট্রানস্ফার করতে পারবেন।

উপসংহার:

আশাকরি উপরের আর্টিকেলটি থেকে ওয়েব হোস্টিং কি, ওয়েব হোস্টিং কত প্রকারের হয় এবং হোস্টিং কিভাবে কাজ করে এই সম্বন্ধে পুরো ইনফরমেশন পেয়ে গেছেন। যদি আপনি নতুন ব্লগ তৈরি করেছেন তাহলে আপনি শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন। অন্যথায় আপনি ওয়েবসাইটের ট্রাফিক অনুযায়ী হোস্টিং এর নির্বাচন করুন। এই পোষ্টটি সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে আপনি কমেন্ট করে আমাদের জানান

Scroll to Top